প্রিন্ট এর তারিখঃ Mar 15, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ Dec 28, 2024 ইং
কুষ্টিয়ায় খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের ব্যতিক্রমী কর্মসূচী

কুষ্টিয়ায় খেলাপি ঋণ আদায়ে এবার ভিন্নধর্মী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে একটি ব্যাংক। দুই চাল ব্যবসায়ীর বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ব্যানার ও মাইকের মাধ্যমে ঋণ পরিশোধের আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন শীর্ষ কর্মকর্তারা। সামাজিক চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে ঋণ আদায়ের উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তারা।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) ছুটির দিনে ব্যাংক বন্ধ থাকায় কুষ্টিয়ার এক্সিম ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই কর্মসূচি পালন করেন। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া শহরের কোর্টপাড়ায় রাশিদুল ইসলাম এবং পুলিশ লাইনের সামনে ইউনুস আলীর বাড়ির সামনে মানববন্ধন করেন তারা। পরবর্তী সময়ে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনেও একই কর্মসূচি পালন করা হয়।
বড় অঙ্কের খেলাপি ঋণ
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, রাশিদুল ইসলাম ২০১০ সালে আল্লাহর দান রাইস মিলের জন্য প্রথমবার ১ কোটি টাকা ঋণ নেন। বিভিন্ন সময় বিনিয়োগ বাড়াতে গিয়ে বর্তমানে তার ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। তিনি গত ছয় মাসে কোনো টাকা পরিশোধ করেননি। অন্যদিকে, ইউনুস আলী ২০১৭ সালে ইফাদ অটো রাইস মিলের জন্য ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ নেন। তার বর্তমান খেলাপি ঋণ ৩৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। তিনিও গত তিন বছর ধরে কোনো পরিশোধ করেননি।
ব্যাংকের বক্তব্য
কুষ্টিয়া শাখার ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ ইউনুছ আলী বলেন, “রাশিদুল ইসলামের বাড়ি ও অফিসে গিয়ে ঋণ পরিশোধের অনুরোধ জানানো হয়েছে, কিন্তু তিনি কোনো উদ্যোগ নেননি। এ কারণে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।” ব্যাংকের কর্মকর্তা মইনুল হোসেন জানান, "প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ঋণ আদায় সম্ভব হচ্ছে না। তাই সামাজিক চাপ প্রয়োগের জন্য এ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।"
এই উদ্যোগ ব্যতিক্রমী হলেও এটি কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
Bangla Kontho LTD © এর পক্ষে প্রকাশিত